হাতে আর সময় নেই শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই মুহূর্তে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকেও পরীক্ষার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবছর নয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নানা সময় নানা বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয়। এই সমস্ত বিশৃঙ্খলা থেকে যাতে দূরে থাকা যায় এর জন্য এক নতুন পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের খাতা দেখার নিয়মে আনা হয়েছে বড় বদল।
ঠিক কি কি পদক্ষেপ করা হচ্ছে?
সূত্রের খবর পরীক্ষার খাতা দেখা এবং নাম্বার দেওয়ার বিষয়ে এই পরিবর্তন হবে। এতদিন পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষার সময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা লাল কালি ব্যবহার করতেন নাম্বার দেওয়ার জন্য। পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রের পাতায় উত্তরের পাশেই নাম্বার লেখা হতো। এরপর ওই পরীক্ষার্থী যত নাম্বার পেয়েছে সেই নাম্বার উত্তরপত্রের উপরে লেখা থাকতো। এবার এই বিষয়টার উপরেই পরিবর্তন আসতে চলেছে।
কেন পরিবর্তন করা হচ্ছে এই পদ্ধতি?
জানা যাচ্ছে উত্তর-পত্রের নাম্বার দেওয়ার কিছু সময় পর খাতায় লেখা নাম্বার ধীরে ধীরে আবছা হতে থাকে। পরবর্তীতে সেই নাম্বার যাচাই করার সময় নাম্বারটিকে সঠিকভাবে বোঝা যায় না। ফলে পরীক্ষার্থীর সঠিক নাম্বার মেলানোয় সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় যাতে পড়তে না হয় সেই উদ্দেশ্যেই নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন কি পদ্ধতি আনা হচ্ছে?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন সিদ্ধান্তে জানা যাচ্ছে এখন থেকে খাতা দেওয়ার পর নাম্বার লেখার জন্য আলাদা ক্লেজিং শীটের ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে উত্তরপত্রের সাথে সাথে এই ক্লেজিং শিট ব্যবহার করতে হবে। ঐ শিট এর মধ্যেই প্রাপ্ত নাম্বার উল্লেখ করে রাখতে হবে। এখানে নাম্বার উল্লেখ থাকলে তা পরবর্তীতে মেলাতে সমস্যা হবে না।
পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্ক্রুটিনি ও আর টি আই এর জন্য আবেদন করে। এক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক হবে এই ক্লেজিং শীট। খুব সহজেই ছাত্র-ছাত্রীর প্রাপ্ত নাম্বার মেলানো যাবে। শিক্ষা সংসদের মত এতে অনেকটাই উপকৃত হবে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।