কৃষকদের জন্য আবারও বড় সুসংবাদ দিল রাজ্য সরকার। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় বন্যা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা(Shasya Bima) দিয়েছিল সরকার। কিছুদিন আগে আবারো অকাল বর্ষণের ফলে এবং ডিভিসি জল ছাড়াই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলার চাকরিরা। তাদের সাহায্যার্থে আবারও ফসলের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। হলে কৃষকদের একাউন্টে শীঘ্রই ৫ হাজার দশ হাজার পনেরো হাজার টাকা পর্যন্ত আসতে চলেছে।
তো কবে থেকে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণের এই টাকা, কোন কোন জেলার উপভোক্তারা এবার ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে, কোন কোন ফসলের ক্ষতির ক্ষেত্রে এই অনুদান দেওয়া হবে, কারা কারা শস্য বীমা প্রকল্পের এই টাকা পাবে না, কতদিন পর উপভোক্তার একাউন্টে এই প্রকল্পের টাকা আসবে চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবার আমরা এক এক করে এখানে জেনে নিন।
কোন প্রকল্পের আওতায় এই টাকা দেবে কৃষকদের?
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে, তাদের পাশে দাঁড়াতে সরকার চালু করেছিল এক বিশেষ প্রকল্প। আর এই প্রকল্পের নাম হচ্ছে বাংলার শস্য বীমা যোজনা(Shasya Bima)। এই প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আর্থিক সহায়তা করে রাজ্য সরকার। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা উপভোক্তার একাউন্টে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে ফসলের ক্ষতিপূরণের আরো একটি কিস্তির টাকা উপভোক্তারা পেতে চলেছে।
কোন কৃষকদের সহায়তা করা হবে?
কয়েকদিন আগেই অকালবৃষ্টির ফলে আলু সহ আরো অন্যান্য ফসল দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অসময়ে অঝোরে শিলাবৃষ্টির কারণে মাথায় হাত চাষীদের। তবে এই কৃষকদের সমস্যা দূর করে তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো সরকার। জানা যাচ্ছে প্রায় ৯ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সাড়ে তিনশ কোটি টাকারও বেশি দেয়া হবে। এই নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কৃষক বীমার প্রিমিয়ামে ছাড়
কৃষকদের শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি তাদের ফসলের বীমার (Shasya Bima)প্রিমিয়ামেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানানো হয়েছে যে ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার কৃষককে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শস্য বীমা প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে আলু চাষীদের সংখ্যা ১২ লক্ষ ১৩ হাজার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এবার অসময়ে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে আলু চাষিরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সহায়ক মূল্যে আলু ক্রয়
কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে আরো এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সহায়ক মূল্যে ফসল কেনা শুরু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে আলু চাষীদের সহায়তা করা হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনছে সরকার। এর জন্য ন্যূনতম দর ঠিক করা হয়েছে ৯০০ টাকা প্রতিকুইন্টাল। এতে চাষিরা অতিরিক্ত ফলন হলে দাম কমার যে আশঙ্কা করছিল তার থেকে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হবে।
