বাংলার আবাস যোজনায় (Bangla Awas Yojona 2nd Installment)যারা যারা ঘর পেয়েছে তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। প্রথম কিস্তিতে ৬০০০০ টাকা আগেই উপভোক্তাদের দেওয়া হয়েছে। ঘর বানাতে সেই টাকা প্রায় খরচ হয়ে গেছে, এবার এই প্রকল্পের মাধ্যমে আসবে আরো একটি কিস্তির টাকা। এই কিস্তিতে উপভোক্ততারা পাবে আরো ষাট হাজার টাকা। তবে এরই মধ্যে এল গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। কারণ জানা যাচ্ছে প্রচুর উপভোক্তা এবারের কিস্তির ষাট হাজার টাকা পাবে না। উল্টে তাদের আগে ৬০ হাজার টাকাও ফেরত নেওয়া হবে। সঠিক নিয়মে ঘর না বানানোর কারণে এই কঠোর পদক্ষেপ বলেই জানা যাচ্ছে।
সরকারি ঘরের টাকার বিষয়ে নতুন কি কি আপডেট এসেছে, কোন কোন উপভোক্তাদের পরবর্তী কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা আর দেওয়া হবে না, কাদের কাদের আগের ষাট হাজার টাকাও ঘুরিয়ে দিতে হবে, কি সমস্যার কারণে এই টাকা দেওয়া বন্ধ করে আগের টাকা ঘুরিয়ে নেওয়া হবে, যাদের যাদের সমস্যা নেই সেই সমস্ত উপভোক্তারা কবে পরবর্তী কিস্তির এই আবাস প্রকল্পে ঘরের টাকা পাবে, ঠিক কোন নিয়মের ঘর করলে উপভোক্তারা বাকি টাকা পাবে এই নিয়ে সরকারি নির্দেশিকায় ঠিক কি কি জানানো হয়েছে চলুন এই সমস্ত তথ্য গুলো এবার দেখে নেওয়া যাক।
আবাসের ঘর নিয়ে বড় সমস্যা(Bangla Awas Yojona)
দীর্ঘদিন বাদে অবশেষে বাংলার সাধারণ মানুষ আবারও সরকারি ঘরের সাধ পেয়েছে। বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে উপভোক্তাদের ঘর দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম কিস্তিতে তারা ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিল প্রায় তিন মাস আগে। ইতিমধ্যে অনেকেই তাদের সেই টাকা খরচ করেছে। ঘর বানানোর অর্ধেক কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এবার আরো বাকি ৬০ হাজার টাকা উপভোক্তাদের দেওয়া হবে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে বড় সমস্যা। কারণ আবার যোজনার ঘর বানানোর জন্য সরকারি যে নির্দেশিকা রয়েছে সেই নিয়ম মেনে কাজ করা হয়নি। ফলে দেখা দিয়েছে বড় সমস্যা।
কাদের কাদের আর ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবেনা (Bangla Awas Yojona Refund of Rs. 60000 )
দেখা যাচ্ছে এরকম অনেক উপভোক্তা রয়েছে তারা আবাস যোজনার ঘর বানানোর যে নির্দেশিকা রয়েছে তা মানছেননা। নিজেদের ইচ্ছা মতন, যে যেভাবে পারছে এই ঘর বানানো শুরু করেছে। আবার অনেকে স্থানীয় নেতারা যা বলছে সেই অনুযায়ী তারা বাড়ি বানাতে শুরু করেছে। কেউ পুরনো ঘরে আগের বেড়া সরিয়ে সেখানে নতুন করে শুধু ইটের দেয়াল তুলে দিচ্ছেন, কেউ পুরনো বাড়িতেই শুধুমাত্র মেজ ঢালাই করে রাখছে, কেউ আবার পুরনো বাড়িতেই রান্নাঘর হিসেবে এই ঘর বানাচ্ছেন, কেউ শুধুমাত্র আগের খুঁটি দেওয়া ঘরে ঢালাই করে ইটের দেয়াল তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু এই সমস্ত কোন ক্ষেত্রেই সরকারে নিয়ম মানা হচ্ছেনা। ফলে এই সমস্ত উপভোক্তাদের পরবর্তী কিস্তির ষাট হাজার টাকা আটকে যাবে। শুধু তাই নয় এদের আবাসের ঘর বাতিল হলে আগের টাকাও ফেরত দিতে হতে পারে।
আবাসের ঘর বানানোর সঠিক সরকারি নিয়ম (Bangla Awas Yojona Housing )
আবাস প্রকল্পের ঘর বানানোর ক্ষেত্রে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে মাটির নিচ থেকে নতুন করে কলাম তুলতে হবে। কলাম যখন উপরে উঠবে তখন এর উপর কংক্রিটের ব্যান্ড তৈরি করতে হবে। এরপর ইটের দেয়াল তুলতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সরকারি আধিকারিকরা যখন পরীক্ষা করতে যাবে তখন যেন সমস্ত কিছু ঠিকঠাক পায়। অন্যথায় তাদের ঘরের টাকা আটকে যাবে।
তবে যারা যারা সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করেছে তাদের জন্য সুসংবাদ। কারণ তাদের অ্যাকাউন্টেই প্রকল্পের শেষ কিস্তির টাকা আসতে চলেছে। আরো ৬০০০০ টাকা এরা পাবে ঘর বানানোর জন্য। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে আগামী মাসেই সেই টাকা উপভোক্তাদের একাউন্টে চলে আসবে।
চাকরি ও প্রকল্পের আপডেট হোয়াটস্যাপে পেতে ক্লিক করুন https://rb.gy/ppdfwu
চাকরি ও প্রকল্পের আপডেট টেলিগ্রামে পেতে জয়েন করুন https://rb.gy/6hsymg